প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'পুলিশ দিয়ে সরকার আন্দোলন ঠেকানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে'। এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'তদন্তে বেরিয়ে আসবে, আসলে তিনি কীভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন।'
'হাছান মাহমুদ বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমানকেই সেনাবাহিনীর প্রধান নিয়োগ করেছিল খোন্দকার মোস্তাক আহমেদ। এতে কী প্রমাণিত হয়? এতে প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নয়, সেদিন প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করার লক্ষ্যেই জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল।' তিনি বলেন, '১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন করার অপচেষ্টা হয়েছিল। আমাদের জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা পরিবর্তন করার অপচেষ্টা হয়েছিল।'
-বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'বিভিন্ন প্রান্তে গেলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে। আমি কিছু পরামর্শ তাদের দিয়েছি, ইতিহাস জানানোর স্বার্থে সেখানে আরও কিছু বিষয় সন্নিবেশিত করার কথা তাদের বলেছি।
মোকাবিলা করার জন্য আমরা মাঠে নামলে কোথায় পালাবে বিএনপি, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
তারা সেটি করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে। সব মিলিয়ে এই উদ্যোগটি অত্যন্ত চমৎকার। এজন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে আমি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।' বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুকুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন।
-উল্লেখ্য, 'রেলের ইতিহাসে এই প্রথম ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নামে নির্মিত জাদুঘরটির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। দুটি কোচকে সাজানো হয়েছে অভিন্ন সাজে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের জাদুঘরটিতে ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ ও সংগ্রামী ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে। সাধারণ দর্শনার্থীরা টাচ স্ক্রিনে আঙুল স্পর্শ করতেই ভেসে আসবে বঙ্গবন্ধুর ছবি, ভাষণ ও জীবনের বিভিন্ন বিষয়। শুধু বড় রেলওয়ে স্টেশন নয়, দেশের সবকটি রেলওয়ে স্টেশনে নির্ধারিত দিন ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরটি দাঁড়ানো থাকবে। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের জন্য এটি উন্মুক্ত রাখা হবে।'